আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নির্দেশে দখলদার সেনারা গাজার জনগণের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তার জাতিসংঘ বক্তৃতা ট্রাকের উপর বসানো ও সীমান্তের দেয়ালে স্থাপন করা লাউডস্পিকার দিয়ে সম্প্রচার করে।
একই সময়ে দখলদার ইসরায়েলের গুপ্তচর ইউনিট '৮২০০' গাজার বাসিন্দাদের মোবাইল ফোন হ্যাক করে নেতানিয়াহুর বক্তব্য তাদের কাছে পৌঁছে দেয়। ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল গাজার বাসিন্দাদের ওপর “মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বিস্তার” করা।
ইসরায়েলি সেনাদের উচ্চপদস্থ কমান্ডাররা ভেবেছিল নেতানিয়াহুর ভাষণে গাজার বাসিন্দারা তাদের কাছে আত্মসমর্পন করবে, কিন্তু দ্রুতই তারা বুঝতে পারে যে, এই সিদ্ধান্ত ছিল “চূড়ান্ত ভুল।” তারা স্বীকার করেছে- এ সিদ্ধান্ত কোনো প্রভাবই ফেলেনি বরং লাউডস্পিকারের শব্দ প্রচারের কারণে সেনাবাহিনী আরেকবার হাসির পাত্র হয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এই নির্দেশ ছিল সেনাবাহিনীকে ট্রাকের চাকার নিচে পিষে ফেলার মতো।
নেতানিয়াহু ভেবেছিল তার কণ্ঠস্বর স্বর্গীয় সুরের মতো হৃদয় নরম করবে এবং প্রতিরোধকে বাধ্য করবে আত্মসমর্পণে। কিন্তু দীর্ঘ প্রতিরোধের ইতিহাসবাহী গাজা শুধু কর্ণপাতই করেনি বরং ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আওয়াজ দিয়ে সেই শব্দকে প্রতিহত করেছে।
ইসরায়েলি পদক্ষেপ প্রমাণ করছে যুদ্ধের ময়দানে পরাজিত হয়ে এখন তারা শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা দেখব ড্রোন দিয়ে নেতানিয়াহুর ভাষণ সম্প্রচার করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে এক্স নেটওয়ার্কের এক ব্যবহারকারী লিখেছে, “ইসরায়েলি সেনারা ভাবে মাইক ও মোবাইল দিয়ে বক্তৃতা প্রচার করলে গাজার মানুষ আত্মসমর্পণ করবে? আমরা বোমার শব্দে হার মানি নি, নেতানিয়াহুর কণ্ঠে কেন হার মানবো!”
আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন এভাবে: “নেতানিয়াহু গাজায় লাউডস্পিকারে তার বক্তব্য বাজিয়েছে, সে ভেবেছে মানুষ তার উপদেশ শুনতে উদগ্রীব! কারো পক্ষ তেকে তাকে বলা উচিৎ এটা নির্বাচনী মঞ্চ নয়, এটা ধ্বংসস্তূপ!”
গাজাবাসী নেতানিয়াহু'র মতো কোনো খুনির কণ্ঠ শুনতে আগ্রহী নয়, তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে,তাদের প্রতিরোধের আওয়াজ যেকোনো লাউডস্পিকারের চেয়েও বেশি।
Your Comment